December 6,2013 at 8: 06pm
উপকূল এক্সপ্রেস চলছে, আমি গেটে দাড়িয়ে ভালই উপলব্ধি করছিলাম আমার দীর্ঘ যাত্রা। কারণটা অবশ্য টিকেট পাই নি। কিছুক্ষণ পর আমার একটা গতি হল। মামার হাত ধরে পেলাম নামায রুমে একটি আসন, যার কোন নাম্বার নাই। কি আর করা আসন পেতে বসলাম। আমর পাশে দুই ভদ্র লোক বসা যাদের একজন হচ্ছেন হিন্দু ধর্ম্যাল্মবি পুরহিত, আর আন্যজন মনে হয় বাম করে কারণ তার গলায় একটি লাল রং এর গামছা ঝুলানো। কিছু সময় পর আরও একজন যাত্রী আমাদের সাথে যোগ দিলেন, যার হাতে তসবি, মাথায় টুপি, পরনে আঁতরের সুবাস মিশ্রিত পাঞ্জাবী, বুজলাম মসজিদের ইমাম। যাই হোক উপকূল এক্সপ্রেস চলছে আমরাও চলছি। আমি বাইরে তাকিয়ে দেখলাম সূর্যটা লাল হয়ে গেছে, তার মানে এ বুঝি সন্ধ্যা এল।
আসলে তাই আমি আর ঐ বাম ভদ্রলোক দেখলাম রুমের একপাশে হিন্দু পুরোহিত তার সন্ধ্যা কালীন পূজার জন্য আসন দিলেন, অপর পাশে ইমাম সাহেব নামায আদায় করার জন্য দাঁড়ালেন। কিন্তু তারা দুজনই এক জন অপরজনের প্রতি বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে। পুরোহিত ভাবছেন বিধর্মী থাকার কারণে তার পূজা হবেনা, একি কারণে ইমাম সাহেবের নামায হবেনা। ঐদিকে সময় দ্রুত পুরীয়ে আসছে। কিযে করবে বুজতে পারছেনা। এ দেখে বাম ভদ্র লোক চুপিচুপি হাসছেন। তিনি তাদের বললেন আমি একটা উপায় বলতে পারী............!
' আপনি আপনার আল্লাহ্কে বলেন চাঁদটা একটু পরে উঠুক, আর সূর্যটা একটু পরে নিভুক।
আপনি আপনার ঈশ্বরকে বলেন সূর্যটা একটু পরে নিভুক, আর চাঁদটা একটু পরে উঠুক।'
এ সময় এর মাঝে আপনারা যার যা তা করে নিতে পারবেন!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
ummmm... valo laglo...