আশীর্বাদ (পুনঃ লিখিত)
এক কুচকুচে অন্ধকারে ঘিরে থাকলেও
দেখতে পাচ্ছি দূরে এক আলোর ছায়া আলো
সর্ব দিকে তার মুখ, হাত নেই
তবু খুলছে ধীরে ধীরে আমার
পেটের ভেতরে থাকা যতসব প্যাঁচ আর গিঁট ।
যতই সে খুলছে আর ঝেড়ে দিচ্ছে
বহু দিনের জমে থাকা ঝুল আর ধুলো বালি
ততই অন্তরের অন্তস্থলে বিকশিত হচ্ছে
এক একটি পাপড়ি হীন ফুল আর সুবাসময় আত্মজ্ঞান,
তাদের কোন মুখ নেই
তবু আমার সাথে কথা বলে চলেছে নিরন্তর নিঃশব্দে
কোন বর্ণ –শব্দ ছাড়াই,
আর আমিও অধীর আগ্রহে শ্রবণ করছি
কান দিয়ে নয়
ব্যবহার করছি এখানে হৃদয়ের তৃতীয় চক্ষু,
আর তাদের কথা মতো তৈরি হচ্ছি বেছে নিতে
অথৈ জলে কচুরি পানার মতো ভেসে বেরান
শত শত আবেগগুলির মধ্যে
সেই সোনালী আবেগ
প্রেম প্রীতি আর ভালোবাসা ।
আর প্রাস্তুতুতি নিচ্ছি শুনতে
হাজার হাজার মিথ্যা সুরের মধ্যে
এমন এক সুর যার কোন বাজনা নেই
শুধু আছে মূর্ছনা,
সেই অদ্বিতীয় সত্য সুর ।
আর যেই ভাবনা অমনি কাজ
ধীরে ধীরে কাটছে যতসব ঘনিয়ে আসা সন্দেহের মেঘ
দীর্ঘ নিঃশ্বাসের সাথে সাথে অতি গভীরে অনুভূত হচ্ছে
এক অসীম শক্তি আর খোদা প্রাপ্ত পবিত্র আশীর্বাদ ।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem