বাঘ তোমরা দেখেছ নিশ্চয়:
মানুষের রক্তের নেশা চেপে গেছে যার
দিশেহারা তার পদক্ষেপ।
ক্ষুধার্ত দু' চোখে সে নিরীক্ষণ করে চলেছে
পথ চলতি প্রতিটা মানব দেহ;
কোথাও মেয়ে মানুষের গন্ধ মেলে যদি
তৎক্ষণাৎ ঝাঁপিয়ে পড়ে
দাঁত-নখ বসিয়ে শেষ রক্তবিন্দু চেটে নেবে;
বন্যপ্রাণী যে। ওরা শিকারী
আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই
এমন হিংস্র পশু বাস করে, তুমি জানতে।
মাংসের লোভ দেখিয়ে এক
পূর্ণিমা রাতে তাকে পোষ মানিয়ে ছিলে:
দু' জনে বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম।
আজও বুকের আঁচল সরালে দেখতে পাবে;
আমার ভালবাসার নিলচে দাগ
হয়ত বা পাবে না। হয়ত মুছে গেছে কবে
সিঁদুর আর স্বামীর সোহাগে
কিন্তু স্মৃতি সহজে মোছে না।
স্বপ্নেরা রক্তাক্ত হয়। নিরবে ভেজে বালিশ
তবুও সার্কাস বন্ধ হলো কই?
ফুলসজ্জার নামে এক দারুণ প্রহসন চলল
আর তোমার নিখুঁত অভিনয়:
দেখেছি নিরস্ত্র সৈনিকের মত। লজ্জা হয়!
জানি না কে শিব, কে বা সতী
জানি অন্য বিছানায় যেতে বাধ্য করি নি —
বল আমি ধর্ষক নই! এ মিথ্যা
সেদিন কোনো শব্দ হয়নি —
দুমড়ে-মুচড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল ভালবাসা
আর আত্মহত্যা করেছিল বাঘ।
বেচারা না জঙ্গলে ফিরতে পারল, না সার্কাসে।
পশুশালায় তার মৃত্যু হল।
কেউ খবর রাখে নি। কোন মিছিলও হয়নি:
পুরুষমানুষ যে। আমরা শিকারী
তোমারও একদিন ব্যবহার হবে। শিকার হবে।
বাঘ শিকার দেখেছ নিশ্চয়?
(First composed: May,2021)
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem