●
.
জন্মসূত্রে বিক্রয়কর্মি,
অমার বাবা রুটির জন্য তার সারাজীবনেরময়দা জোগার করতেন
ফিল্ডক্রেস্ট, উলরিচ ও ফারিবো কোম্পানীতে উল বিক্রি করে।
জন্মসূত্রে বাকপটু,
ওইসব ভেজা-জিনিসের একশ গাঁইট
বিক্রি করতে পারতেন। নির্ধারিত সময়ে মাইলের পর মাইল যেতেন
বেচতেন এবং টাকা নিতেন।
ঘরে বসে যে সব কথা বলতেন তার প্রতিটি বাক্য
ওইসব ক্রেতাদের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যারা তার রুটিরুজির দাম দিতো।
প্রতিটি শব্দ
বার বার অনুশীলিত হতো, যে কোনও দরে,
ওইসব মানুষের জন্য যারা তার থালা ভরতে কেনা-বেচায় অংশ নিতো।
আমার বাবা ঘুরঘুর করতেন
ইয়র্কশায়ার দুগ্ধপণ্য ও গোমাংসের দোকানগুলোতে:
দূরান্তের কারবারি, ফেরিঅলা, ব্যবসায়ী ও আদিবাসী গোত্রপ্রধান রূপে।
রুজভেল্ট! প্রত্যাশিত আয়ু! এবং যুদ্ধ!
কত সচারচরই না কাণ্ডজ্ঞানহীন থাকতাম
আমার সেকেলে-দাসী হৃদয় ও হাস্যকর কিশোরি-শংসাবাক্যের ভিতরে।
বাড়িতে, প্রত্যেক রাতেই
মানচিত্রগুলোর প্রেমে মজে থাকতেন বাবা
যখন রেডিও ব্যস্ত থাকতো নাজি ও জাপানিদের সাথে যুদ্ধ নিয়ে।
ব্যতিক্রম শুধু তখন যখন তিনি তিন দিনের
মাতলামি নিয়ে নিজের শয়নকক্ষে লুকিয়ে থাকতেন,
টাইপ করতেন জটিল ভ্রমণসূচি, টাঙ্ক গোছাতেন,
তার সামঞ্জস্যপূর্ণ বাক্স-পেটরা
এবং পকেটে থাকতো নিশ্চিত করা রিজার্ভেশনের কাগজ,
তার মন ইতোমধ্যেই চালিত জাতীয় লালনিশানার পথগুলোতে।
কোথাও যাবার নেই,
প্রত্যেক রাতে আমি আমার টেবিলে বসে থাকতাম
মিল্মওয়াকি ও বাফেলোর দু'তিনটে কুঁচকানো মানচিত্র মেলে ধরে,
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র,
এর কবরস্থানগুলো, ভিন্ন ভিন্ন সময়াঞ্চল,
যদিও পথরেখাগুলো ক্ষুদে শিরা, রাজধানীগুলো পাথরনুড়ি।
তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন সড়কে,
হৃৎপিণ্ড গলার কাছে উঠে পিছন দিকে গেঁথে গিয়েছিলো,
তার শাদা গলবন্ধ ক্যাডিলাকের জানলা পথে সংকেত দিচ্ছিলো।
ছবির বইতে দেখা নীল-চোখের মতো নীল-চোখ,
আমার স্বামী, উল বিক্রি করে:
কার্ডের বাতিল বাক্সসমূহ এবং পশুদেহের বঙ্কিমতা থেকে
তুলে আনতে পারে সুতার পেটি
এবং লেইসেস্টার, র্যাম্বুলেট ও মেরিনো গোত্রের মেষ থেকে
বানাতে পারে লালচে, পুরনো বরফের মতো হলদেটে পনির।
আর যখন তুমি রওনা হচ্ছো, প্রিয়তম আমার,
ইয়েস, স্যার! ইয়েস, স্যার! এর একটা আমার গৃহিনীর জন্য,
তোমার পণ্যের নমুনা আমার বাবার নামে সুবিদিত,
তোমার ভ্রমণসূচি উন্মুক্ত,
এর শুল্ক শব্দশীল ও লোভাতুর,
এর মহাসড়ক নব-প্রণয়ের মতো, আনকোরা ও গতিশীল।
.
●
.
#বাঙলায়ন: #রহমানহেনরী; #Bengalized by #RahmanHenry
.
* অ্যান সেক্সটন (৯ নভেম্বর ১৯২৮ - ৪ অক্টোবর ১৯৭৪) : স্বীকারোক্তিমূলক কবিতার জন্য বিশেষভাবে খ্যাতিমান মার্কিন কবি। কবিতার জন্য ১৯৬৭ সালে, পুলিৎজার পুরস্কারে ভূষিত। ম্যাসাচুচেটসের নিউটনে জন্ম; একই অঞ্চলের ওয়েস্টনে আত্মাহুতির মাধ্যমে নিজ জীবনের অবসান ঘটিয়েছেন।
.
*
#AnneSextonPoems
.
আর যখন তুমি রওনা হচ্ছো, প্রিয়তম আমার, ইয়েস, স্যার! ইয়েস, স্যার! এর একটা আমার গৃহিনীর জন্য, তোমার পণ্যের নমুনা আমার বাবার নামে সুবিদিত, তোমার ভ্রমণসূচি উন্মুক্ত, এর শুল্ক শব্দশীল ও লোভাতুর, এর মহাসড়ক নব-প্রণয়ের মতো, আনকোরা ও গতিশীল।......সুন্দর এবং অনবদ্য কবিতা; একটি কর্মময় জীবনের সাবলীল বর্ণনা; পাঠে মুগধ হলাম