●
.
জানতে চাও কীভাবে সময় কাটাচ্ছি?
আগাছা সরানোর ভাণ করে, সামনের লনে
হেঁটে বেড়াচ্ছি। তোমার জানা উচিত
কখনও ঘাস-বাছাবাছি করি না আমি, হাঁটুতে ভর রেখে,
ফুলক্ষেতে মটরশুঁটির ডগাগুলো নাড়ছি: আসলে
সাহস সঞ্চয় করছি আমি, কেননা কোনও একটা প্রমাণ
বদলে দেবে আমার জীবনকে, যদিও
এতে গোটা জীবনটাই লেগে যেতে পারে, পরখ করছি
প্রতীকী এই লতাগাছের
প্রতিটি ডগা, এবং দ্রুতই পেরিয়ে যাচ্ছে গ্রীষ্মকাল, এরই মধ্যে
পাতাগুলো বদলে যাচ্ছে, সর্বদা পীড়িত গাছগুলোই
প্রথমে এগিয়ে চলে, সেই মৃত্যু রূপ নিচ্ছে
উজ্জ্বল হলুদের, যখন কয়েকটা কালোপাখি
বিরত রাখছে গান। আমার হাত দুটো দেখতে চাও?
ওগুলো এখন প্রথম চিরকূটের মতই ফাঁকা।
কিংবা এ হাতের রেখা কি সর্বদাই
সংকেতহীন ছিলো?
.
.
* লুইস গ্লুক [২২ এপ্রিল ১৯৪৩ - ]:
২০২০ সালে কবিতার জন্য নোবেলজয়ী মার্কিন কবি। পুরোনাম: লুইস এলিসাবেথ গ্লুক। নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণকারী গ্লুক [জন্মসূত্রে মার্কিনী] পিতৃপুরুষসূত্রে হাঙ্গেরিয়ান ইহুদি-বংশোদ্ভুত এবং মায়ের দিক থেক রুশিয়ান ইহুদি। পড়াশুনা করেছেন সারাহ লরেন্স কলেজ ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর শিক্ষা অংশের অধ্যাপক এবং আবাসিক লেখক। গ্লুক ১৯৯৩ সালে কবিতার জন্য পুলিৎজার পান এবং ২০১৪ সালে পান যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল বুক এওয়ার্ড'। অবশ্য, ২০০২-২০০৩ মেয়াদে তিনি মার্কিন পোয়েট লরিয়েট হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
এখন অব্দি তার কবিতাগ্রন্থ ১৪টি; ২টি চ্যাপবুক এবং ২টি কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম কাব্য, ফার্স্টবর্ন প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। উল্লেখযোগ্য কবিতাগ্রন্থ: দ্য ট্রুয়াম্ফ অব আকিলিস [১৯৮৫] এবং দ্য ওয়াইল্ড আইরিস [১৯৯২]। তার কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ: প্রুফস এন্ড থিয়োরিস [১৯৯৪] এবং আমেরিকার অরিজিন্যালিটি [২০১৭], গ্রন্থ দুটিতেও মৌলিক ভাবনার স্ফূরণ ঘটেছে।
.
●
#বাঙলায়ন: #রহমানহেনরী; #Bengalized by #RahmanHenry
.
.
#LouiseGlückPoems
.
** জার্মান ভাষায় এ কবির নাম: লুইজ এলিসাবেথ গ্লিক
.
.
.
*
.