একটা সমগ্র আঙুর বাগানের মধ্যম-তীব্র বিকেল ও তার বর্ণিল স্বপ্নমূর্চ্ছনা খুব পরিপাটিভাবে বসে আছে রাত্রির টেবিলে; আর ভায়োলিনের কান্না ভেসে আসছে আমার পাঠকক্ষ থেকে। কবিতার মুখোমুখি দাঁড়াবার পক্ষে যথেষ্ট উপযোগী আজ রাতের বাতাস এবং স্বল্পালোকিত ডাইনিং টেবিলের নির্জনতা। কে একজন গোথিক ভাষায় গেয়ে যাচ্ছে ওইসব গান, প্রণয়িনীর মহত্ব ও বিশ্বাসঘাতকতার যৌথবিবরণীর মতো যার বাণী।
যুদ্ধের, স্মৃতিকাতরতার, দেশপ্রেম ও উদ্বাস্তু হয়ে যাবার সংগীতগুলি বরাবরই আমাকে দিয়েছে বিষণ্নতা ও একাকিত্বের অনির্বচনীয় সুখ এবং অভূতপূর্ব কবিতার দুর্বোধ্য সব চিত্রকল্পের আনন্দ; আর ভালোবাসার সস্তা গানগুলি দিয়েছে বাচাল গণিকার ব্রণভরা অমসৃণ গালে আসন্ন চুম্বনের মতো অস্বস্তি। কেবল বিচ্ছেদই বলে দেয়— প্রণয় কীভাবে মহত্ত্ব দিতে পারতো মানুষকে!
তথাপি, কোনও কোনও হালকা সংগীতও মাঝেমধ্যে এনে দেয়— মিষ্টি কোনও স্বপ্ন দেখার স্নায়বিক অনুভূতির মতো প্রশান্তি। যেন খুব শৈশবে— কিশোরীর ফ্রকের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিচিত্র সব ফল, এতোগুলি বছর পেরিয়ে আবারও উন্মোচিত হচ্ছে একই কৌতূহল আর উত্তেজনা নিয়ে। কেননা, প্রতীকবাদী কবিতার মতই, আমারও ছিলো: দুর্বোধ্য, জটিল-আনন্দয়, বর্ণাঢ্য শৈশব।
দূর শৈশবের ধূলিপথ থেকে তুলে আনা লঘুঘরানার তেমন কিছু গান, আজও আমি বহন করে চলি; এবং না-বুঝেই মুখস্থ করে রাখা নির্বাচিত কবিতাগুলি বারবার পড়তে পড়তে একদিন জেনে ফেলি— বিরহপ্রধান বাণীগুলোই, বস্তুত, প্রণয়ের গান!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem