দুঃখের চেয়েও বড় দুঃখ
নিঃসঙ্গতা।
হায় রে মুখপোড়া মানুষ
কবে তুই জানবি
উলঙ্গ একাকী এসেছিস তুই
নিঃসঙ্গ একাকী যাবি তুই?
জন্ম মৃত্যু মাঝে যে যাত্রাপথ
আলো আঁধার ঢাকা সেই পথে
কখনো কখনো
কেউ কেউ হয়তো ক্ষণিকের সহযাত্রী হয়
কিন্তু কখনোই তাকে সহযাত্রা বলে না।
কে জানে
পরের স্টেশনে
কে কখন নিঃশব্দে নেমে যাবে!
ওহে মানুষ
তোমার যাত্রা কেবল তোমারই যাত্রা।
ভীষণই একাকী ভীষণই নিঃসঙ্গ
বৃষ্টি বসন্ত বৈশাখী ঢাকা যাত্রা।
মন কি তবু মানে গো?
তবুও একটু কাঁদতে হয়।
কাঁদতে না চাইলেও কাঁদতে হয়।
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে
বালিশে মাথা গুঁজে নিঃশব্দে কাঁদতে হয়।
গলা ফাটিয়ে উচ্চৈঃস্বরে
বুকফাটা কান্না কাঁদতে হয়।
কিন্তু কেন?
আমি কাঁদি কেন? মালবিকা কাঁদে কেন?
এ পৃথিবী কাঁদে কেন?
দুঃখের চেয়েও বড় দুঃখ
নিঃসঙ্গতা।
আমরা খুঁজতে থাকি
এমন এক হৃদয়-
যে আমাদের
অশ্রুর নিঃশব্দ সঙ্গীত
করুণা ভরা চোখে
নীরবে একটুশুনবে।
উদ্ভ্রান্তের মতো
আমরা খুলতে থাকি
স্মৃতির ডায়েরীর প্রত্যেকটা পাতা।
যদি দেখা মেলে!
কখনো কোথাও
যদি দেখা মেলে পরম সেই বন্ধুর!
কখনো তাকে পাই
কখনো পাই না।
বৃষ্টি বসন্ত বৈশাখী ঢাকা যাত্রা পথে
আমরা সকলেই
আপন যাত্রায় মশগুল। আপন যন্ত্রণায় কাতর।
সময় কোথায়?
মালবিকা বুকের ব্যথা বুঝতে
অমলের সময় কোথায়?
নিঃসঙ্গ বুকের দুঃখের আগুনটা তখন
আগ্নেয়গিরির মতো দাউ দাউ করে জ্বলে।
জানো?
যন্ত্রণা তত বেশি যন্ত্রণাদায়ক নয়।
কিন্তু নিঃসঙ্গ বুক?
তা আগ্নেয়গিরির চেয়েও
অনেক বেশি যন্ত্রণাময়।
এতো এতো লোক এ পৃথিবীতে।
অথচ সবাই আমরা
কি ভয়ঙ্কর একাকী
কি ভয়ঙ্কর নিঃসঙ্গ!
© অরুণ মাজী
Painting: Eugene De Blaas
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem