ধানক্ষেতের ধারে পড়েছিল সে
কাস্তেটি ধরা ছিল মুঠোয়,
মাথার ঝাকড়া চুল
লেপটে আছে কাদায়,
দেখছিল তার দেশের গ্রামটিকে
ঘুমের ঘোরে আর আচ্ছন্নতায়।।
স্বপ্নের বিস্তৃত পটভূমিতে
বিরাজিত ছিল এক নাইজেরিয়ান,
তালগাছের তলায় রনক্ষেত্রে আর একবার সে
হেঁটেছিল দৃঢ় পদক্ষেপে হেঁটেছিল রাজার মতন.
শুনছিল গাড়ির টুং টাং আওয়াজ
যে গাড়ি পাহাড়ী পথে করছিল অবতরণ
ফিরে সে দেখছিল কাজলনয়না রানীকে
সন্তানদের মাঝে ছিল দাঁড়িয়ে,
ওরা ওর গালে চুমু খেয়েছিল, ধরেছিল ওর হাত শক্ত করে
গলা ধরেছিল জরিয়ে,
ঘুমন্ত চোখের পাতায় কান্না এসে
পড়ে গেল বালিতে ঝরঝরিয়ে।।
এরপর ও ঘোড়া ছুটিয়ে দিল অতিদ্রুত গতিতে
নাইজারের কিনারা ধরে,
ঘোড়ার লাগাম কোমর বন্ধন সবই তো সোনার
চলছিল যেন যুদ্ধের দামামার স্বরে,
প্রতি লম্ফনে অনুভব ছিল ওর স্টীলের তরবারি
করছল আঘাত ওর বলবান ঘোড়ার পাজরে
সামনে ওর উজ্জ্বল ফ্লেমিংগোগুলো উড়ছিল
রক্ত-লাল পতাকার মতন,
সকাল থেকে রাত ওদের
উড়ান করেছিল অনুসরণ,
যেখানে তেতুলগাছে তেতুল ফলে
রণক্ষেত্রের ওপারে,
দেখছিল কালো মানুষদের কুটীরের ছাদ আর উত্তাল সাগর
জেগেছিল ও এপারে।।
রাতে ও শুনেছিল সিংহের গর্জন
আর আর্তনাদ হায়নার,
নল-খাগড়ার বন দলিত করে চলে জলহস্তী
পাশেই আছে লুকোনো ছোটো নদীর পার,
যখন চলে যায় যেন বিজয় ঢাকের ধ্বনি
বয়ে চলে স্বপ্ন জয় তাঁর।।
বনভূমি তার অসংখ্য আওয়াজে
স্বাধীনতার চিৎকার করে,
প্রবল মরুবাত্যার চিৎকার করে
উদাত্ত আর মুক্ত স্বরে,
তখনি ওঘুমোতে গেল স্মিত হেসে
তাদের ঝটিকা-বিক্ষুদ্ধ উল্লাস তরে।।
প্রভুর চাবুকের খোঁচা, বুঝতেই পারল না
না প্রচন্ড উতপ্ত দিনে জ্বলুনিও নয়,
কারণ মৃত্যু আলোকিত করেছে ঘুমের দেশ
ওর প্রানহীন দেহটি ধূলায় লুটায়,
ক্ষয়ে যাওয়া শৃঙ্খলটি ছুঁড়ে ফেলেছে
ভেঙ্গে গেছে যে হৃদয়।।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem