সোনারন মরুকান্তার লীপি ছড়ানো বালুর বুকে,
ধু ধু প্রান্তরে কাতারে কাতারে ক্যাকটাসে ভরা রূপে I
যে দিকে তাকাই যায় শুধু দেখা,
দূরে বালু-বুকে ঘন-নীল রেখা,
দিগন্ত যেথায় মিশেছে গো হোথা ওই নীলিমার কোলে I
দিনে রবিকরে দগ্ধ জ্বালায়,
ক্যাকটাস হাসে সহজ হেলায়,
রাতের স্নিগ্ধ পবনের কোলে খনে খনে যায় দুলে I
দেখো একপায়ে সুহারোর দল,
ধ্যানেতে মগন সদা বিহ্বল,
ধীর নিশ্বাস্থির নয়নে দূর নভে বহু তুলে I
অতি দুর্গম ওই মরুতল,
নেই সেথা কোনো জনকোলাহল,
কেবল মরুর নিবির শান্তি বিরাজে আকাশে ভূতলে I
জলাধার র্হীন সেই বালুবুকে,
বাঁচে কত প্রাণী অদ্ভুত রূপে,
প্রাণ ধারণের সেই অভিনব পথটি কেইবা বাতালে I
সুহারো হেথায় অঙ্গ আধারে,
জমায় শক্তি নিভৃত আঁধারে,
টানি নিজ দেহে জলীয় বাস্প নিশীথে মরুর শীতলে I
হেথা বিশ্রাম লাগি মরুপ্রানী আসে নিবিড় শীতল ছায়ে,
মরু বিহঙ্গ আশাঘর বাঁধে বসি সুহারোর গায়েI
আসে দলে দলে কীট পতঙ্গ,
নানা সরীসৃপ নানা ভুজঙ্গ,
সুহারো অঙ্গে বাঁধিবারে রাখী তপ্ত মরুর বায়ে I
দেখেযে সুহারো নীজ অনুভবে,
মরূজীবনের নানা উত্সবে,
বাঁচিবার লাগি কতো লীলা খেলা নিজের অঙ্গছায়ে I
কতো জীব আসে কতো জীব যায়,
ভাসিতে ভাসিতে কালের ভেলায়,
জীবন মরণ দোলনাতে দুলে সুহারো অঙ্গছায়ে I
সুহারো যে শুধু দ্রষ্টার মতো,
দেখি যায় খেলা হেথা অবিরত,
বিকার বিহীন সুহারো রাখেগো বাঁধি সবই হৃদিতারে I
সোনারন বুকে নানা লীলামাঝে খেয়ালীর অভিসারে II
সোনারন বুকে সুহারোর লীলা চলে আদিকাল হতে, ,
ও যে সকল লীলার কেন্দ্রে রহিয়া খেলি যায় সবাসাথে I
সুহারোবিহীন সনারণে কভু ভাবা যায় নাক মনে,
মনি বাদ দিয়ে মনির জ্যোতিকি ভাবা যায় কোনো দিনে I
সোনারন আর সুহারর মাঝে তাই নাহি কক ভেদ,
ওরা আজনম কাল বেঁধে গাটছড়া মিটায়ে ফেলেছে খেদ I
তাই দেখি সোনারন তৃপ্ত সদাই দীপ্ত আকাশ তলে,
অকারণে তাই প্রানের জোয়ারে খুশিতে উঠে সে দুলে I
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
*সোনারন-মরুভূমি উত্তর আমেরিকার এক বৈশিস্থময় স্থান I দক্ষিন পশ্চিম ইউনাইটেড স্টেটস এবং মক্সিকো কে জুড়ে রয়েছে এই মরুভূমি I আদিকাল হতে সোনারন এই অঞ্চলের সভ্যতা ও সম্স্কৃতির নানা সাক্ষর বহন করে চলেছে I উত্তর আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানদের সভ্যতার পীঠস্থান এই সোনারন I আর বিখ্যাত সুহারো কাকটাসের জন্মস্থান হচ্ছে এই সোনারন মরুভূমি
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem